১০০ টাকার বিনিময়ে মিলছে ৮৬ রুপি

ভারতে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সব খাতেই এর প্রভাব পড়েছে।  যদিও দেশটির সরকার তা স্বীকার করছে না। বড় বড় বেসরকারি সংস্থায় কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক পড়েছে।

মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদন বলছে, চাপের মুখে আর্থিক ঘাটতি কমাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে ১.৭৬ লাখ কোটি রুপি অর্থাৎ ২৪.৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। এর ফলে ভারত সরকার রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিজের লাভের বাড়তি ভাঁড়ারের ভাগ দিচ্ছে আরবিআই।

ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। আর এই পতন অব্যাহত আছে। সোমবার দিনের শুরুতেই ডলারে প্রতি রুপির দাম ৪২ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৭২.০৮ রুপিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নমুখী প্রবণতাও বজায় থাকে। শেয়ার বাজারের লেনদেন শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই রুপির দামে আরও পতন ঘটে। ৫৯ পয়সা কমে গিয়ে এক সময় ১ ডলারের দাম হয় ৭২.২৫ রুপি।

ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাংকসহ আমদানিকারকদের কাছে ডলারের চাহিদা অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, আমেরিকা ও চীনের শুল্ক যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবও পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। তার ঢেউ লাগছে ভারতের বাজারেও। গত শুক্রবারই আমেরিকা ও চীন— দু’দেশই পরস্পরের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে।

সোমবার ঢাকায় ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার মূল্যের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৪ পয়সা। বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলেই বদলে মিলছে ভারতের ৮৬ রুপি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটিই সর্বনিম্ন। তখন বাংলাদেশি টাকা এবং রুপির দর প্রায় সমান ছিল। তারপর দিনদিন পড়তে থাকে বাংলাদেশি টাকার দাম।

দরপতনের কারণে অনেকেই টাকা দিয়ে রুপি কিনে রাখছে। পর্যটনসহ বিভিন্ন কারণে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিরাও বাড়তি সুবিধা ভোগ অন্যদিকে বাংলাদেশে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বেড়েছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: