‘কাশ্মীরের রাস্তায় লাশের স্তূপ নেই মানে শান্তি আছে তা ঠিক নয়’

জম্মু-কাশ্মীরের রাস্তায় হয়ত জঞ্জালের মতো মানুষের মৃতদেহ পড়ে নেই। তার মানে কাশ্মীরে যে শান্তি রয়েছে এমনটা ভাবা বড্ড অবাস্তব হয়ে যাবে, বলেছেন শ্রীনগরের মেয়র জুনাইদ আজিম মাট্টু।

তিনি বলেন, ‘উগ্র সিদ্ধান্তের পরে সংবেদনশীলতার কথা বলে স্থিতাবস্থা দেখানোর প্রচেষ্টার মানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক তা নয়। বিজেপি সরকারের আটক করার নীতি পুরোপুরি কার্যকর বলেই মনে হচ্ছে।’

এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে জম্মু ও শ্রীনগরের মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়। তারও আগে, কাশ্মীরের মূলধারার রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের (জেকেপিসি) এই নেতা। জুনায়েদ মাট্টু অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিয়ে বরাবরই সমালোচনায় মুখর হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরেই কাশ্মীরে রাজনৈতিক কর্মীরা মূল স্রোতে টিকে থাকার জন্য সন্ত্রাসবাদীদের হুমকির মুখে পড়েছেন এবং নিজেদের সাহস দেখিয়েছেন। তবে আজ তারা আতঙ্কিত ও নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন।’

জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রের পদক্ষেপের আগে হেফাজতে নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন জেকেপিসির প্রধান সাজ্জাদ লোন।

জুনায়েদ মাট্টু বলেন, ‘যদিও কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সহজ হবে এখনও অনেক পরিবার আছে যারা তাদের প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করতেই পারেনি।’

শ্রীনগরের মেয়রের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করা ‘অস্তিত্বের সঙ্কট' সৃষ্টি করেছিল কারণ এটিই তার পরিচয়ের একমাত্র ভিত্তি ছিল।

‘আমরা সর্বদাই প্রতিহিংসার সুস্পষ্ট হুমকির মধ্যে বসবাস করেছি, এটি কোনো নতুন দৃশ্য নয়। মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সেটাকে ন্যায়সঙ্গত করার প্রচেষ্টা প্রমাণের প্রচেষ্টা চলছে’- বলেন জুনায়েদ।

এক সাক্ষাত্কারে জম্মু-কাশ্মীরের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজনীয়তাকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সমর্থন দিয়ে বলেছিলেন, প্রশাসনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় বাধা দিতে এই জাতীয় পদক্ষেপ ‘অপরিহার্য' ছিল।

জুনায়েদ মাট্টু বলেন, ‘আমি কীভাবে একদিকে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের নির্দেশদাতাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করব, আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষদের জন্য ইন্টারনেট চালু রাখব? এই পদ্ধতি আছে? জানতে পারলে আমি আনন্দিতই হব।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: