আলু সেই পাল যুগ থেকে গোটা এশিয়া মহাদেশে জনপ্রিয়। এটি রান্নার পাশাপাশি নানাভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিয়মিত ব্যবহারে আলুর জুড়ি নেই।
দেখতে গোলগাল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এই সবজি ত্বকের কালো দাগছোপ, ট্যান, র্যাশ ও ব্রণ কমাতে দারুণ কার্যকর। নিয়মিত একটুকরো আলু ব্যবহারে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আপনার ত্বক। পার্লার ছাড়াই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আলু দিয়ে রূপচর্চায় আপনাকে সবার কাছে করে তুলবে মোহনীয়। চলুন জেনে নিই, রূপচর্চায় কীভাবে আলু ব্যবহার করা হয়-
ত্বকের কালো দাগসহ ট্যান দূর করতে আলুর ব্যবহার অনস্বীকার্য। ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতে মাঝারি সাইজের একটি আলু খোসা ছাড়িয়ে মিক্সিতে ভালো করে ব্ল্বেন্ড করুন। এরপর ওই আলুর রস মুখের যেসব জায়গায় দাগছোপ রয়েছে সেখানে সেখানে লাগিয়ে মিনিট পনেরো শুকিয়ে নিন। পুরো রস শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এটি ব্যবহারে ধীরে-ধীরে আপনার ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসতে বাধ্য।
ব্রণ দূর করতে আলুর রসে কিছুটা গ্লিসারিন মিশিয়ে আলতো করে সারা মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। কুড়ি মিনিট ধরে ম্যাসাজ করার পর মুখ শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে এটি সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যবহার করুন। চাইলে ফেসপ্যাক বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
যারা ওয়েলি স্কিনের জন্য অ্যাকনের সমস্যায় ভুগছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেক ক্রীমও ইতিমধ্যে মেখেও কোনো সুরাহা মেলেনি। তাদের এই সমস্যা দূর করতে আলু ভীষণ উপকারী একটি জিনিস। প্রথমে একটা আলুর সঙ্গে কিছু পরিমাণ টমেটো পাল্প, বাদাম তেল, এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে সারা মুখে ম্যাসাজ করুন। এভাবে কুড়ি মিনিট থাকার পর ভালো জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
চোখের নীচের কালোদাগ দূর করতেও আলু ভীষণ উপকারী একটি সবজি। কাজের চাপ হোক বা রাত জেগে সোশ্যাল সাইটে অন থাকা এখন যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় চোখের নীচে কালো দাগ পড়তে শুরু করে। দীর্ঘদিন এই রকম চলতে থাকলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর এর কুপ্রভাব পড়ে। ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাতের কাছে থাকা সস্তার আলুই আপনার জন্য মুশকিল আসান।
প্রতিদিন রাতে একচামচ আলুর রসের সঙ্গে কিছুটা শসার রস মিশিয়ে হালকা করে চোখের উপর, নীচ ও চারিদিক ভালো করে বুলিয়ে নিন, এরপর ঘুমিয়ে পড়ুন। সারা রাত এইভাবে থাকার পর সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর তফাৎটা আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে আপনার ত্বকের অন্য কোনো গুরুতর সমস্যা থাকলে এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নিন।
টাইমস/জিএস