প্রচণ্ড গরমে শরীরকে চাঙ্গা করতে আমরা কোমল পানীয় পান করে থাকি। সব বয়সী মানুষের কাছে এই পানীয় জনপ্রিয়। দুপুরের গরমে কিংবা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায়, এমনকি জন্মদিনের পার্টি থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়ী পর্যন্ত কোমল পানীয় আমাদের প্রতিদিনকার জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
কোমল পানীয় যত বেশি জনপ্রিয়, তত বেশি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নতুন একটি গবেষণায় এমনই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত কোমল পানীয় আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, যারা নিয়মিত দুই গ্লাস বা তার বেশি কোমল পানীয় পান করেন, তারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সম্প্রতি ‘জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত প্রায় পাঁচ লাখ লোকের উপর করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ইউরোপিয়ান প্রোসপেক্টিভ ইনভেস্টিগ্যাশন ইনটু ক্যান্সার অ্যান্ড নিউট্রিশন থেকে এসব ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
গবেষকদের মতে, কোমল পানীয়তে থাকা চিনি মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। যা স্থূলতা থেকে শুরু করে দেখা দিতে পারে আরও নানান স্বাস্থ্য সমস্যা।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের গবেষক ড. নেলি মারফি এ বিষয়ে বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে মিষ্টি জাতীয় কোমল পানীয় মানুষের চিনি গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা থেকে নানা ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরোক্ষভাবে মানুষকে অকাল মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এই কোমল পানীয়।”
মারফি ও তার দলের এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে প্রত্যেক ব্যক্তির ১৬ বছরের গড় তথ্য উপাত্ত । যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যারা প্রতিমাসে এক গ্লাস বা তার কম কোমল পানীয় পান করেন, তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন দু’গ্লাস বা তার বেশি কোমল পানীয় পান করেন, তাদের মৃত্যু হার ১৭% বেশি।
তবে গবেষকরা একথাও বলেন যে, কোমল পানীয় পানের সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্কটি এখনো তাদের কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ানডটকম।
টাইমস/এনজে/জিএস