গান শুনতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। গান শোনা শুধু বিনোদনের অংশই নয়, স্বাস্থ্য ও মন ঠিক রাখতেও দারুণ কার্যকরী। শারীরিক ক্লান্তি দূর করা ও মানসিকভাবে চাঙা রাখতে সংগীতের রয়েছে দারুণ উপকারিতা।
গবেষকরা বলছেন, গান শোনার ফলে শরীরে ডোপামাইন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে। গান মানুষের শরীর ও মন সুস্থ রাখার পাশাপাশি আইকিউ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
এজন্যই হয়ত আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, আমি যদি পদার্থ বিজ্ঞানী না হতাম, তাহলে সঙ্গীতজ্ঞ হতাম।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গান শোনার মাধ্যমে মানুষের সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক একসঙ্গে সজাগ হয়ে ওঠে। বাড়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী প্রভাব ফেলে সংগীত।
মানসিক ক্লান্তি ও অবসাদ কমাতে বা কাটাতে সংগীত দারুণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, প্রচণ্ড কাজের চাপে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়লে গান শুনলে উপকার পাওয়া যায়।
ব্যায়াম বা শরীরচর্চার সময় গান বা ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনলে সহজে ক্লান্তি আসে না। ফলে দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, খামার বা বাগানে সংগীত বা যন্ত্রসংগীত চালিয়ে রাখলে গাছের বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়।
সংগীত মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতে ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করে বলে একাধিক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায়। মার্কিন গবেষকদের দাবি, গণিত চর্চার সময় গান শুনলে সাফল্যের হার বৃদ্ধি পায়।
টাইমস/জিএস