ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব খাবার

ডায়াবেটিস বলতে সাধারণভাবে আমরা রক্তে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় শর্করা বা গ্লুকোজের উপস্থিতিকেই বুঝি। শর্করা সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ব্রেড, ভাত, দুধ, ফল প্রভৃতি রক্তে শর্করা বৃদ্ধির কারণ।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকলে না খেয়ে থাকার বদলে উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ফলে একদিকে আপনাকে না খেয়ে থাকার ঝামেলা সহ্য করতে হবে না, অন্যদিকে গ্লুকোজ বৃদ্ধির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীনও হতে হবে না।

আসুন জেনে নিই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা পাঁচটি খাবার-

শাক-সবজি
শাক-সবজিতে এমনিতেই শর্করার পরিমাণ খুব কম থাকে। ফলে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেলেও আপনার রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের অন্যান্য খাবার মেপে মেপে খেতে হয়। কিন্তু শাক-সবজি খাওয়ার সময় আপনাকে এত মেপে খেতে হবে না। চাইলে আপনি পেট ভরে খেতে পারেন।

ডিম
গবেষণায় দেখা গেছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা উচ্চ মাত্রার আমিষ হিসেবে নিয়মিত ২টি করে ডিম খেয়েছেন তাদের রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রার উন্নতি ঘটেছে। ডিম নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং একটি ডিম ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার ক্ষুধা নিবারণে সক্ষম।

তরমুজ
এক কাপ তরমুজে মাত্র ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থাকে। এটি খেতে সুস্বাদু ও কিছুটা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের শত্রু নয়। নানা পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ তরমুজ আপনার রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

রসূন
নানা গুণে সমৃদ্ধ রসূন একটি অসাধারণ ভেষজ। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসূন গ্রহণ করলে- প্রদাহ রোধ হয়, রক্তে শর্করা কমে যায় এবং এলডিএল কোলেস্টেরল কম করার মধ্য দিয়ে রসূন ডায়াবেটিস টাইপ-২ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। একইসঙ্গে এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বেশ কাজ করে।

হলুদ
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রদাহ নাশকারী হলুদ ডায়াবেটিস টাইপ-২ রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। কারণ হলুদে থাকা কারক্যুমিন প্রদাহ রোধ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। একইসঙ্গে এটি হৃদরোগ থেকে শুরু করে নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পরিচিত। সূত্র: ওয়েবএমটি

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: