যেসব অভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করবে

দেহের বাড়তি ওজন শুধু আপনার সৌন্দর্যের জন্যেই নেতিবাচক তা নয়, বরং এটি একই সঙ্গে আপনার স্বাস্থ্যের জন্যেও মারাত্মক হুমকি। কারণ স্থূলতা ডায়াবেটিস টাইপ-২ সহ নানা রোগের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে, বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই সুস্থ থাকতে হলে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা খুব প্রয়োজন।

ওজন কমাতে অনেকে অনেক কিছু করে থাকেন। এমনকি কেউ কেউ অপারেশনের মাধ্যমে বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি খোঁজেন। অনেকে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে এই অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান। তবে খাওয়া না কমিয়েও আপনি চাইলে ওজন কমাতে পারেন।

চলুন জেনে নিই যেসব অভ্যাস আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে-

ভালো করে দীর্ঘ সময় ধরে চিবিয়ে খান
ইতিমধ্যে যথেষ্ট খাওয়া হয়ে গেছে, তা উপলব্ধি করতে আমাদের মগজ বেশ সময় নেয়। তাই ধীরে ধীরে সময় নিয়ে চিবিয়ে খেলে খুব অল্প খাবার খেলেও পেট ভর্তি অনুভূত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে- যারা খুব দ্রুত খেয়ে অভ্যস্ত তারা তুলনামূলকভাবে অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী।

প্রতি রাতে এক ঘণ্টা বেশি ঘুমান
গবেষণায় দেখা গেছে- ওজন কমানোর জন্য ঘুমকে কাজে লাগানো যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, প্রতি রাতে এক ঘণ্টা বেশি ঘুমালে বছর শেষে আপনার ওজন কমতে পারে ১৪ পাউন্ড পর্যন্ত। সূত্র: মেডিসিননেট.কম

বেশি করে শাক-সবজি খান
প্রতি বেলার খাবারে শুধু এক প্রকার সবজি না খেয়ে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি বেশি সবজি খেলে তা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার থাকে, কিন্তু ক্যালোরি থাকে খুব কম। আর খাবারে কম ক্যালোরি মানেই কম ওজন।

চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিহার করুন
চিনি মানেই ক্যালোরি আর ওজন বাড়ানোর উপাদান। তাই ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে। তাছাড়া এসব পানীয় নানা রোগের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

আমরা যখন চিনিযুক্ত পানীয় পান করি তখন তা আমাদের পেট ভরায় না, কিন্তু আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি ঢুকে যায়। ফলে দেখা যায়, স্বাভাবিক খাবার আর ওসব পানীয় থেকে প্রাপ্ত ক্যালোরি মিলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি দেহে প্রবেশ করছে।

ছোট থালা ব্যবহার করুন
খাওয়ার সময় ছোট থালা ব্যবহার করুন। গবেষণায় দেখা গেছে- যারা বড় থালা ব্যবহার করেন তারা তুলনামূলক ভাবে বেশি খেয়ে থাকেন। শুধু থালার আকার কমিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে আপনি প্রতিদিন ১০০-২০০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করতে পারেন। ফলে বছরে কমবে ১০ থেকে ২০ পাউন্ড।

বেশি পরিমাণে আমিষযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
আমিষযুক্ত খাবার আমাদের খুদা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। শর্করার পরিবর্তে বেশি পরিমাণে আমিষযুক্ত খাবার খেলে তা আপনাকে পূর্ণ রাখে, খুদা কমায় এবং এর ফলে আপনি কম ক্যালোরি গ্রহণ করবেন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
পানি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। যদি আপনি প্রতি বেলা খাবারের পূর্বে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে আপনার প্রতিদিন ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা এমনিতেই কমে যাবে। সে ক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পূর্বে পানি পান করতে হবে। তথ্যসূত্র: মেডিসিননেট.কম ও হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: