দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এই খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকার কয়লা চুরির অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞা এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম আমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক বড়পুকুরিয়ার সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলকরা প্রতিবেদনে ৫ জনের অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন বিচারক। এছাড়া আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে চার্জশিটভুক্ত ২৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রের তালিকায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী আসামি হিসেবে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে আসামি ছিল ১৪ জন। তদন্তে ৯ জনের নাম যুক্ত হওয়ায় এজাহারনামীয় ৫ জনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক একরামুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও মহা ব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র সাহা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।
দিনাজপুর পুলিশ কোর্ট পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান, মামলা দায়েরের পর এখন পর্যন্ত কোনো আসামি জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেননি।
টাইমস/এমএস