পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি হলে কঠোর ব্যবস্থা: চট্টগ্রামের ডিসি

 

পেঁয়াজ নিয়ে অদৃশ্য ব্যবসা করা যাবে না বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ  ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, অদৃশ্য ব্যবসা মানে কালোবাজারি। এটা হলে অবশ্যই অ্যাকশন নেয়া হবে। কমিশন এজেন্টদের দোকানে অবশ্যই আমদানিকারকের নাম, ফোন নম্বর ও রশিদ রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় আমদানিকারকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। সভায় পেঁয়াজের পাইকারি আড়তদার ও কমিশন এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ নই, পরিপূরক। যখন মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে তখনই আমরা ব্যবস্থা নিই। অতি মুনাফা চাই না, কারও ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হোক সেটাও চাই না। হয়তো আপনারা অতি মুনাফা করতে না পেরে চট্টগ্রামমুখী পেঁয়াজের ট্রাক ফেরাচ্ছেন, প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নগর, জেলা ও মহাসড়কে পেঁয়াজের গাড়ি যেন দিনে-রাতে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থাও নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পেঁয়াজ যেন দ্রুততম সময়ে খালাস করা হয় সেজন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও টেকনাফ কাস্টমসকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রামের আটজন আমদানিকারকের নাম পাওয়া গেছে, তাদের সভায় আামন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের কেউই আসেনি। তারা কেন আসেনি এবং অন্য কোনো ঠিকানা ব্যবহার করে তারা পেঁয়াজ আমদানি করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’

যদি তারা পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, তা খুঁজে বের করে অভিযান চালানোর ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।

সভায় খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ, ক্যাবের নাজের হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on: