রংপুরের তারাগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে খাদেমুল ইসলাম (২১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই যুবকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়ে পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা পরিষদ-তারাগঞ্জ বাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
খাদেমুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাটগারী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। আর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তারাগঞ্জ সদরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
জানা গেছে, ছাত্রীটি স্কুলে যাতায়াতের পথে খাদেমুল ইসলাম তাকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর ছাত্রীর বাবা গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি খাদেমুলের বাবাকে জানিয়ে ছেলেকে শাসন করতে বলেন। এতে খাদেমুল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
শিবার সকাল আটটায় নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে ওই ছাত্রী স্কুলে যাচ্ছিল। সাড়ে আটটার দিকে কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামের বাড়ির সামনে উপজেলা পরিষদ-তারাগঞ্জ বাজার সড়কে খাদেমুল তার পথ আটকায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারপিট করে। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন এবং খাদেমুলকে আটক করেন। পরে তারাগঞ্জ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ খাদেমুলকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, খাদেমুল তাকে এক বছর ধরে পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় রাস্তাঘাটে বিভিন্ন রকম ভয় দেখাত। শনিবার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে মারপিট করে। এ ঘটনায় সে খাদেমুলের বিচার দাবি করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উম্মে সালমা বলেন, মেয়েটির মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে অভিযুক্ত খাদেমুল ইসলাম বলেন, আগে তারা একে অপরকে ভালোবাসতো। দুই মাস থেকে ওই ছাত্রী আর তার সঙ্গে দেখা করে না। শনিবার তাকে বেয়াদব বলায় রাগে ওই ছাত্রীকে একটা থাপ্পড় দিয়েছিল সে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় খাদেমুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল তদন্ত করে ওই ছাত্রীকে মারপিটের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ওই মামলায় খাদেমুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
টাইমস/এইচইউ