পরকীয়া দেখে ফেলায় চট্টগ্রামে বাবা-মেয়েকে হত্যা

পরকীয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলায় চট্টগ্রাম নগরীর নিমতলা এলাকার বাবা-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম।

এর আগে শনিবার নগরের বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকায় স্থানীয় বুচুইক্যা কলোনির একটি বাসা থেকে বাবা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আমেনা বেগম জানান, বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে বুয়ার কাজ করতেন হাছিনা (৩০) এবং স্বামী আবু তাহের (৩৮) ছিলেন গুদাম শ্রমিক। স্বামীর কর্মস্থল গুদাম শ্রমিকদের নেতা মাইন উদ্দিনের সাথে পরকীয় সম্পর্ক গড়ে উঠে আবু তাহেরের স্ত্রী হাছিনার। মায়ের অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে শিশু কন্যা ফাতেমা (৪)। বাবা বাসায় এলে এ সম্পর্কের কথা বলে দেবে বললে ওই শিশুকে হত্যা করে মা হাছিনা বেগম। পরে মাইন উদ্দিন ও হাছিনা বেগম মিলে স্বামী আবু তাহেরকেও হত্যা করে।

অতিরিক্ত কমিশনার জানান, পরে পুলিশ হাছিনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালীর সুবর্নচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হাছিনা বেগমকেও।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হাছিনা বেগম জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার প্রেমিক মাইন উদ্দিনকে সাথে নিয়ে স্বামী আবু তাহের এবং কন্যা বিবি ফাতেমাকে হত্যা করেছেন তিনি। প্রথমে ৪ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে হাত-পা ধরে রাখে প্রেমিক মাইন উদ্দিন। তারপর কন্যার গলায় এবং পেটে ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর স্বামী আবু তাহের বাসায় প্রবেশ করলে প্রথমে দুজন মিলে তাকে ঝাপটে ধরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এরপর এক পর্যায়ে গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন দুজন। ঘটনার পর মাইন উদ্দিন পালিয়ে নোয়াখালী চলে যায়। পরে পুলিশ হাছিনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালীর সুবর্নচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আবু তাহেরের বড় ভাই মো. নুর আলম বাদি হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। আবু তাহের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরঘাটা গ্রামের মৃত মো. মোস্তফার ছেলে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: