গাজীপুরে এক দম্পতিসহ অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের প্রায় ৩০ ঘন্টা পর পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। এসময় এক দম্পতিসহ ৫ অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

অপহৃত হারুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ধুমিহায়াতাপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরের বিলাশপুর এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করতেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার আজহার রহমানের ছেলে মো. শাহীন আলম (৩০), শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার মো. বেলাল কাজির ছেলে সোহেল (২৫), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৩), ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘুষগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা আক্তার বর্ষা (১৬) এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার রবিচন্দ্র দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাস (১৯)। তাদের কাছ থেকে একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, ছয়টি মোবাইল ও ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি লিখিত স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর ওই কোম্পানি কমান্ডার জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শিববাড়ি থেকে বুধবার বিকেলে ৭/৮ জন অপহরণকারী গাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হারুন অর-রশিদকে (৩৯) জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। অপহৃত ওই কর্মকর্তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে মারধর করে অপহরণকারীরা। তারা ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। অপহরণের পরদিন অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে অপহৃতের স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মুক্তিপণের টাকা দেয়া না হলে অপহৃতকে হত্যা করার হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় অপহৃতকে উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়ে তার স্বজনরা গাজীপুরের পোড়াবাড়িস্থ র‌্যাব-১ এর ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। বিষয়টি অবহিত হয়ে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান শুরু করে।

র‌্যাব অপহৃত ও অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাসন থানার নলজানি (পালের মাঠ) সংলগ্ন আবদুল আওয়ালের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং দুই নারীসহ মোট পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‍্যাব কর্মকর্তা জানান।

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on: