বুলবুলের রাতে ফুটলো দুই বুলবুলি

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্কে দেশের মানুষ। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ জানমাল নিয়ে যে যার মতো ছোটাছুটি করছে দিগ্বিদিক। আবহাওয়া অফিসের মহাবিপদ সংকেত শুনে চরাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়, যার মধ্যে গর্ভবতী মায়েরাও আছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মানুষ যখন নিজ নিজ জানমাল রক্ষায় ব্যস্ত, তখনই বাগেরহাট ও পটুয়াখালী আশ্রয়কেন্দ্রে জন্ম নেয় ফুটফুটে দুই নবজাতক। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের নাম রাখা হয়েছে ‘বুলবুলি’।

জানা গেছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার খবর শুনে শনিবার বাগেরহাটের মোংলার মিঠাখালী গ্রামের এটিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান নেন হনুফা বেগম। রাতে হনুফা বেগমের কোল আলো করে জন্ম নেয় নবজাতক এক শিশু কন্যা। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র নামানুসারে বাবা বায়জিদ শিকদার কন্যার নাম রেখেছেন ‘বুলবুলি’।

মোংলা ইউএনও মো. রাহাত মান্নান জানান, গর্ভধারিণী হনুফা বেগমের জন্য মোংলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে ধাত্রী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছিল। নবজাতক কন্যা বুলবুলি এবং তার মা হনুফা বেগম সুস্থ আছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রসূতিকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসনে আশ্রয় নিয়েছিলেন হুমায়রা বেগম। শনিবার বেলা দেড়টার দিকে হুমায়রা বেগমের কোল আলো করে জন্ম নেয় নবজাতক এক শিশু কন্যা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতও আসন্ন। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মিলিয়ে এই নবজাতকেরও নাম রাখা হয় বুলবুলি।

নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেলা পারভীন বলেন, মা ও নবজাতক ভালো আছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ইউনিয়নের আবাসন ঘরটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মা-মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের নিজ বাড়িতে এনে আশ্রয় দিয়েছি।’ বুলবুলির বাবা আবুল কালাম পেশায় একজন ডেকোরেটর শ্রমিক।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: