রাজশাহীতে ইমামের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় মক্তবে আরবী পড়তে গিয়ে মসজিদের ইমামের ধর্ষণে এক কিশোরী (১৬) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সোমবার উপজেলার সেনভাগ এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইমাম ইয়াকুব আলীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ইমাম ইয়াকুব আলী নরসিংদী জেলা সদর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পুঠিয়ার গাঁওপাড়া সেনভাগ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং মসজিদ সংলগ্ন একটি কক্ষে একা বসবাস করতেন। তার স্ত্রী-সন্তান রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া এলাকায় বসবাস করে।

স্থানীয়রা জানায়, ইমাম ইয়াকুব আলী ওই এলাকায় বিভিন্ন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন। সেই সুবাধে তিনি দীর্ঘদিন থেকে গাঁওপাড়া সেনভাগ জামে মসজিদের ইমামতি করে আসছিলেন। পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের আরবি পড়াতেন।

তার কাছে আরবি পড়তে আসতো এই গ্রামেরই এক কিশোরী। সংসারের টানাপোড়নের কারণে গত দু’বছর থেকে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে ইমাম মসজিদের খাস কামরায় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এতে করে গত জুন মাসে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। প্রায় মাসখানেক আগে বিয়ের আশ্বাসে কিশোরীর গর্ভপাত করান ইমাম।

পরে বিষয়টি জানতে পারে কিশোরীর পরিবার। পরে ইমামকে চাপ দিলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আর জানান, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: