চট্টগ্রাম নগরীতে চলাচলকারী বাসগুলোর ওপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, নগরীর ৮৫ শতাংশ বাসে ধূমপান হয়।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা)। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইপসার উপ-পরিচালক নাসিমা বানু।
নাসিমা বানু বলেন, চট্টগ্রাম শহরে চলাচলকারী ৪১৯টি সিটি বাসে জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ বাসে ধূমপান করতে দেখা গেছে। বাসে ধূমপানকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই চালক ও সহকারী, বাকি দুই শতাংশ যাত্রী।
তিনি জানান, ১০০ শতাংশ বাসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের চিত্র পাওয়া গেছে। কোনো বাসেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সর্তকতামূলক কোনো নোটিস পাওয়া যায়নি।
জরিপে চট্টগ্রামের ২৮২টি সরকারি অফিসের মধ্যে ৫৪ শতাংশে, ৪২৩ টি রেস্টুরেন্টের মধ্যে ৫০ শতাংশে, ১২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১ শতাংশে এবং ১৮৭টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪ শতাংশে ধূমপানের নির্দশন পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে সর্তকতা নোটিস দেওয়া বাধ্যতামূলক। ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হচ্ছেন প্রতিষ্ঠান বা পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক ও ব্যবস্থাপক। প্রায় শতভাগ পাবলিক বাস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯৯ শতাংশ সরকারি অফিস ও রেস্টুরেন্ট এবং ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের এসব ধারার লঙ্ঘন দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম শহরের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা নিয়ে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। চলতি বছরের জুন থেকে নগরীর পাবলিক বাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং রেস্টুরেন্টে তিন মাসব্যাপী এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে সহযোগিতা করে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের আবদুস সালাম মিয়া প্রমুখ।
টাইমস/এইচইউ