যেসব শিশু সুস্থ্য ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠছে, তাদের জন্য মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন নেই। কারণ পুষ্টির সবচেয়ে উত্তম উৎস হচ্ছে খাদ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা দৈনন্দিন যে খাবার খায় তা থেকেই তারা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পায়।
তবে অনেক সময় দেখা যায় যে, শিশুরা খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে উদাসীন। অর্থাৎ তারা খেতে চায় না, বা খেলেও খুব অল্প অল্প খায়। এর মানে এটা নয় যে, তাদের দেহে পুষ্টিগুণের ঘাটতি আছে। কারণ তারা দৈনন্দিন যে খাবার খায় তাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি রয়েছে।
তাই অনেক সময় আমাদের ধারণা হয় যে, শিশুদের পুষ্টিগুণের অভাব রয়েছে, অথচ বাস্তবে দেখা যায় শিশুরা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পাচ্ছে। তবে শিশুদের মাল্টিভিটামিন দিলেই যে পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে তা নয়। মনে রাখতে হবে যে, মাল্টিভিটামিনের অনেকগুলো ঝুঁকিও রয়েছে। অতিরিক্ত ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ দেহের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শিশুদের ঔষধপত্রের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে।
তাই মাল্টিভিটামিন খাওয়ানোর আগে আপনার উচিত, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নেয়া, যে আপনার শিশু প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পাচ্ছে কিনা।
যেসব পরিস্থিতিতে শিশুর জন্য মাল্টিভিটামিন খুবই সহায়ক হতে পারে তা হলো-
১. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বিলম্বিত হলে।
২. কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগব্যাধি কিংবা খাদ্যে অরুচি থাকলে।
৩. শিশু রক্ষণশীল খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে।
যদি ভিটামিন ও খনিজের অভাব মনে করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর বয়সের উপযোগী করে তৈরি মাল্টিভিটামিন খেতে দিন। এক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
১. কখনো শিশুদেরকে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ভিটামিন ও খনিজ খাওয়ানো যাবে না।
২. মাল্টিভিটামিন শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন, যাতে শিশুরা ক্যান্ডি মনে করে খেতে না পারে।
টাইমস/এএইচ/জিএস