জন্মের পরে মৃত ভেবে তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল হাসপাতালের মেঝের ওপর। কিন্তু মায়ের স্পর্শেই মৃত ভেবে ফেলে রাখা জান্নাতুল ফিরে পেয়েছিল প্রাণ। হাসপাতালে রেখে উন্নত চিকিৎসা চলছিল তার। কিন্তু ৩৩ ঘণ্টা পর এবার না ফেরার দেশেই চলে গেল ছোট্ট জান্নাতুল।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আব্দুল হালিমের স্ত্রী জিনিয়া খাতুন রোববার সকালে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরে সোমবার সকালে তিনি সন্তান প্রসব করেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই বাচ্চা জন্মের পর মৃত ভেবে ফেলে রাখেন চিকিৎসকরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ২৫ সপ্তাহের বাচ্চা প্রসব হওয়ায় তাকে দেখে মৃতই মনে হচ্ছিল। পরে বাচ্চাকে তার মায়ের সংস্পর্শে দেয়া হলে নবজাতক নড়ে চড়ে ওঠে। এরপর চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আসাদুর রহমান মানিক জানান, শিশুটির অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল ছিলো। শ্বাস নিচ্ছিলো না, তবে হার্ট বিট ছিলো। এরপর বাচ্চাটিকে ইনকিউবিটরে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে বাচ্চাটি নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে। কিন্তু তার জন্য আরো ভালো চিকিৎসা সুবিধা দরকার ছিলো বিধায় আমরা রাজশাহীতে রেফার করি। তবে বাচ্চার অভিভাবকরা তাতে রাজী হয়নি।
শিশুটির বাবা আব্দুল হালিম বলেন, শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল না। তাই তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। অর্থনৈতিক কারণে বাচ্চাটির উন্নত চিকিৎসা করতে পারলাম না।
মৃত নবজাতক নড়ে উঠলো মায়ের কোলে!
টাইমস/এসএন/এইচইউ