ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: ডিএনএ পরীক্ষায় মজনুর সম্পৃক্ততা মিলেছে

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুর ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার সকালে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনাস্থল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলোর সঙ্গে মজনুর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয় ল্যাবে। উভয় নমুনা মিলে গেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, ধর্ষণের সঙ্গে মজনুর সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তিনি বলেন, বিচারকার্যের গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে ডিএনএর এই নমুনা। শিগগিরই তদন্ত সংস্থা ডিবি এই আলামত আদালতে জমা দেবে।

এ বিষয়ে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, তারা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি থেকে গত ২১ জানুয়ারি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন। সেখানে মজনুর ডিএনএ নমুনার সাথে ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বিভিন্ন আলামত থেকে যে সব নমুনা নেওয়া হয়েছে তার মিল পাওয়া গেছে।

মশিউর রহমান আরও বলেন, এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

এর আগে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়েও। ঘটনার পর ৮ জানুয়ারি মজনুকে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে মজনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: