আখাউড়া স্থলবন্দরে পরীক্ষা নয়, করোনাভাইরাস সনাক্তে জিজ্ঞাসাবাদ!

করোনাভাইরাস সনাক্ত করার জন্য যখন হিমশিম খাচ্ছে চীনসহ উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলো। তখন নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস সনাক্ত করার জন্য আখাউড়া বন্দরে ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ। আবার অনেক যাত্রীকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও হেলথ প্রোভাইডারের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বিশেষ হেলথ ডেস্ক।

জানা গেছে, আখাউড়া বন্দর দিয়ে প্রবেশকারী যাত্রীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা এব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বন্দরে নিযুক্ত মেডিকেল টিম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে হেলথ ডেস্ক বসানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বন্দরের একটি আধাপাকা ভবনের সামনে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও হেলথ প্রোভাইডার। টেবিলের ওপর পড়ে আছে থার্মোমিটার ও স্টেথস্কোপ। তবে বন্দর ব্যবহারকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, থার্মোমিটার বা স্টেথোস্কোপ ব্যবহার না করে তাদের শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যাত্রীরা করোনাভাইরাস বহন করছেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হচ্ছে যাত্রীদের।

বন্দর ব্যবহারকারী ভারতগামী এক যাত্রী বলেন, আখাউড়া বন্দর হয়ে অনেক যাত্রী ভারত ও চীন ভ্রমণ করেন। কাজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম নয়। কিন্তু আখাউড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ দায়সারা ভাবে নামমাত্র হেলথ ডেস্ক বসিয়েছে। থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ দিয়ে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ হাস্যকর।

এসময় আরেক যাত্রী বলেন, সন্দেহভাজন যাত্রীদের শুধুমাত্র মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এটা কোনো ভাবেই যথাযথ পদ্ধতি নয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহআলম জানান, সব জায়গায় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো সম্ভব নয়। তাই সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা স¤প্রতি চীন ভ্রমণ করেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা গেছে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চীনে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক মানুষ। ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্তণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চীন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: