সরকার ঘোষিত বেতন-কাঠামো পর্যালোচনা করে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত বিক্ষোভে নেমেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। বিক্ষোভকালে শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি গার্মেন্টসে ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে।
বিমানবন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে উত্তরখান ও দক্ষিনখান এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন গার্মেন্টসে গিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্ঠা করে। তারা গার্মেন্ট থেকে বের না হলে কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে।
দক্ষিনখানের নিপা গার্মেন্ট ও আটিপাড়ার এপিএস গার্মেন্টে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে মিরপুরের কালশী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কাফরুল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা জানান, রোকেয়া সরণি এবং পল্লবি এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করলে তাদেরকে রাস্তার এক পাশে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে বিক্ষোভের কারণে রোববার সকাল ৯টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিমানবন্দর থেকে উত্তরা আজমপুর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সোমবারও তারা পাঁচ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে। বিমানবন্দরের সামনের চত্বরসংলগ্ন রাস্তায় এনা পরিবহনের একটি বাস ভাংচুরের পর তাতে আগুন দেয় তারা।
টাইমস/এএইচ/এইচইউ