নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি দুইতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ঘুমন্ত অবস্থায় সাত মাসের এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত শিশুর নাম আহমদ হোসেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরো চারজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে শহরের এক নম্বর বাবুরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
নিহত আহমদ হোসেন একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন- তোফাজ্জল হোসেন (৫০), তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩০), বড় মেয়ে হালিমা আক্তার (১১) ও ছেলে মুহাম্মদ হোসেন (৯)। তাদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেনের ভাই রাকিব উদ্দিন জানান, দুইতলা ভবনের নিচতলায় দু’টি রুমে তোফাজ্জল হোসেন তার পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন। যার মধ্যে একটি রুমের নিচেই ছিল সেপটিক ট্যাংক। ট্যাংক থেকে গ্যাস বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না। ভোর পৌনে ৫টার দিকে আচমকা ট্যাংকটিতে বিস্ফোরণ হয়। এতে ভবনের দেয়াল ভেঙে যায়। তখন গুরুতর আহত হয় ঘুমন্ত আহমদ হোসেন, তার মা ফেরদৌসী, বোন হালিমা ও ভাই মুহাম্মদ হোসেন, পাশের রুমে থাকা বাবা তোফাজ্জল হোসেনও।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আহমদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ভোরে ওই এলাকায় দু’টি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়। এতে একটি বাড়ির শিশুসহ পাঁচজন আহত হন। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বাকি আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ