জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে লাশ ফেলে তার স্বজনরা পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ বছর বয়সী ওই মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটির বাড়ি যশোর সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সর্দি-কাশি-জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিল শিশুটি। রোববার বিকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ থাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে করে রাখা হয় তাকে। সোমবার সকালে চিকিৎসক ওই ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পান। এ সময় ওই ওয়ার্ডে শিশুর সঙ্গে স্বজনদের কেউ ছিলেন না।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বলেন, রোববার বিকালে ওই শিশু সর্দি-কাশি-জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। তাকে ভর্তি করে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইইডিসিআর ওই শিশুর লক্ষণ শুনে বলেছে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তারা লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে বলেছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, মেয়েটিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। সেখানে সোমবার ভোরে সে মারা যায়। তার বিদ্যমান লক্ষণ সম্পর্কে টেলিফোনে আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তারা নমুনা না পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, মেয়েটিকে যে লোকটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল তিনি তার নাম ঠিকানা, মোবাইল নম্বর না দিয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে মেয়েটির স্বজনদের খোঁজ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে, আর না পাওয়া গেলে সরকারিভাবে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
টাইমস/এইচইউ