শৈলকুপায় আগুনে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু, অগ্নিদগ্ধ ৩

ঝিনাইদহে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরো ৩ জন। এদের মধ্যে এক নারীর শরীরের বেশীর ভাগ অংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ভস্মীভূত হয়েছে অন্তত ১০টি বসত ঘর।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার নাকইল গ্রামের জোয়ারদার পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। চুলার আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

নিহত নারীর নাম টুকটুকি ওরফে মায়া (১৯)। গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন তার মা শিউলি বেগম (৫০) ও স্বামী স্বপন জোয়ারদার এবং প্রতিবেশী চনের উদ্দিন। শিউলি বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। অপর দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলীপ কুমার সরকার জানান, দুপুরে নিজ রান্না ঘরে রান্না করছিল টুকটুকি। সেসময় রান্না ঘরে আগুন ধরে যায়। পরে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে তার গায়ের উপর পড়লে সে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে পাশের কলপাড়ে যায়। সেসময় তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তার মা শিউলি বেগম এবং স্বামী স্বপন জোয়ারদার এবং প্রতিবেশী চনের উদ্দিন। এসময় দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় টুকটুকি। এ সময় আগুন দ্রুত আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে শিউলি বেগমের অবস্থা আশংকা জনক। তার শরীরের ৭০ ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিউলি বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। শিউলি বেগম শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় সারা গ্রামে চলছে শোকের মাতম। রাহাত বয়স ১০ বছর। মাদ্রাসায় পড়া লেখা করে সে। বড় ভাবীর মরদেহের পাশে বসে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে নির্বাক বসে আছে। শহিদুল ইসলাম জোয়ারদার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। আগুনে কেড়ে নিয়েছে তার সব কিছু। মারা গেছে পুত্রবধূ টুকটুকি ওরফে মায়া। বড় ছেলে স্বপন জোয়ারদার ও বেয়ান শিউলি বেগম হাসপাতালে ভর্তি। সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: