করোনাভাইরাসে টালমাটাল পুরো বিশ্ব। প্রতিদিনই এই ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছে সহস্রাধিক মানুষ। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে।
বাংলাদেশ শনিবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। মারা গেছেন ৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একজন ঢাকার, আরেকজন ঢাকার বাইরের।
আইইডিসিআর-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শুক্রবার বাংলাদেশের ৯ জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে। শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬১ জন।
করোনা শনাক্ত হওয়া ৯ জেলা হচ্ছে- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্তার ঘটেছে ঢাকায়, এরপরই আছে মাদারীপুর।
আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত শুধু ঢাকা জেলাতেই ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মণিপুরে পাঁচজন, সেনপাড়ায় দু’জন, মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর এলাকায় একজন করে রোগী আছেন। এছাড়া রাজধানীর বাসাবো এলাকায় চারজন, পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকায় তিনজন শনাক্ত হয়েছে। মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, হাজারীবাগ, মগবাজার, উত্তরা ও উত্তরখানে দু’জন করে রোগী আছেন। এছাড়া যাত্রাবাড়ী, আজিমপুর, কলাবাগান, রামপুরা, মহাখালী, বনানী-গুলশান, বারিধারা ও খিলক্ষেত এলাকায় একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে মাদারিপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ৬, গাইবান্ধায় ৪ ও অবশিষ্ট জেলাগুলোতে ১ জন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তিনি মাদারীপুরের বাসিন্দা। এরপর রোগী শনাক্ত হয় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে। প্রাথমিক অবস্থায় এটি বিদেশ ফেরত ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে তা স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ব্রিফিংয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েক জনের সংক্রমণের উৎস পাওয়া যায়নি। ভাইরাসটি স্থানীয় পর্যায়ে ছড়ালেও তা খুবই কম মাত্রার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাধারণত সংক্রমণের উৎস পাওয়া না গেলে এটিকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলা হয়।
টাইমস/এইচইউ