কোয়ারেন্টাইনে না.গঞ্জের ডিসি এসপি ও সিভিল সার্জন

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জেই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর এর সূত্র অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। ইতিমধ্যে পুরো জেলা লকডাউন করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে অনেকেই আছেন কোয়ারেন্টাইনে।

এবার কোয়ারেন্টাইনে গেছেন নারায়ণগঞ্জ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কমিটির সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ জেলার ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। বুধবার সকাল থেকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এসব কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম। এছাড়া জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম করোনা সন্দেহে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সভা ও কার্যক্রমে ওই ডাক্তারের সংস্পর্শে এসেছিলেন কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা কেউ বুধবার অফিস করেননি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তিনি তার বাংলোয় রেস্টে আছেন। বাংলো থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বুধবার দুপুরে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও বুধবার সকাল থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা বলেন, জেলা প্রশাসক বাড়িতে আছেন। জনসমাগম যাতে কম হয় এ কারণে অফিসে কম সময় দিচ্ছেন তিনি। তবে আমাদের সব কাজ চলছে।

করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে সেলিম রেজা বলেন, তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমি আসলে কোয়ারেন্টাইনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।’

জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু তার সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি। তবে আমি সুস্থ আছি। আর এই মুহূর্তে আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রয়োজন।

করোনাবিষয়ক জেলা ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি।’

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: