কিশোরগঞ্জে ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে জেলা পরিষদ সদস্য কারাগারে

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সরকারি চাল আত্মসাত ও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে জেলা পরিষদের এক সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিষদের ওই সদস্যের নাম কামরুজ্জামান। তিনি কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।

শনিবার কিশোরগঞ্জের জুডিশ্যল ম্যাজিস্ট্র্টে আদালতে কামরুজ্জামানকে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন ৪৫০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামানকে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার প্রতিনিধি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) উপস্থিতিতে প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ২টি সাবান ও ২টি মাস্ক বিতরণের নির্দেশনা দেয় হয়। কিন্তু জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামান নিজে উদ্যোগী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে না জানিয়ে ১০ কেজি চালের বদলে প্রতি প্যাকেটে ২-৩ কেজি করে চাল কম দিয়ে বিতরণ শুরু করেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. আকতারুন নেছা এবং কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এম এ জলিল কামরুজ্জামানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ত্রাণের ২১৯টি প্যাকেট উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ৩২টি প্যাকেটে চালের পরিমাণ ১০ কেজি থাকলেও বাকি ১৮৭টি প্যাকেটের প্রতিটি প্যাকেটে ২-৩ কেজি চাল কম পাওয়া যায়। এসময় জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামানকে আটক করে পুলিশ।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এম. এ জলিল জানান, সরকারি চাল আত্মসাত ও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on: