গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষার পর এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষাতেও কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউ ল্যাবের রিপোর্ট পেয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট দপ্তরের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
এর আগে রোববার গণস্বাস্থ্যের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই ৭৯ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ এখন ধানমণ্ডিতে তার বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, ২৪ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনাভাইরাসের নমুনা গ্রহণ করে এই প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সে অনুযায়ী তিনি বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। এরপর ২৬ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নমুনা পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউ হতে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার রিপোর্ট আসে।
তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হলো গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট করোনা শনাক্তকরণে শতভাগ কার্যকরী। দেশের জনগণকে করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে আরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার স্বার্থে দ্রুত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিকদের উদ্ভাবিত সহজলভ্য কিট উৎপাদনে সরকারকে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী হালকা জ্বর অনুভব করলে গত ২৪ মে তার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের মাধ্যমে করোনার নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। সেই পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। তবে ওই কিট সরকারের কাছ থেকে এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি বিএসএমএমইউয়ের পিসিআর ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। এখানেও তার করোনা পজিটিভ এসেছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করেছে। উদ্ভাবিত এ কিটের সক্ষমতা যাচাই চলছে বিএসএমএমইউতে। এ পরীক্ষায় সফলতা পেলে তাদের চূড়ান্ত র্যাপিড ডট ব্লট কিট ব্যবহারের অনুমোদন দেবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারপরই গণস্বাস্থ্য তাদের উদ্ভাবিত কিটে সবার করোনা পরীক্ষা করতে পারে।
টাইমস/এইচইউ