টার্গেট বিত্তশালী পাত্রী, বিসিএস ক্যাডার পরিচয়ে ৫ বিয়ে!

মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন ২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে। তিনি নাকি সচিবালয়ে কর্মরত। ওই পরিচয় দিয়ে তিনি এপর্যন্ত বিয়ের প্রলোভনে ৫ পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বিত্তশালী, অবিবাহিত ও চাকরিজীবি পাত্রীদের টার্গেট করেন। কন্যাদায়গ্রস্ত বাবারা মেয়েকে বিয়ে দিতে না পেরে ওই প্রতারকের খপ্পড়ে পড়তেন। বিয়ের পরই তার আসল পরিচয় প্রকাশ পায় টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেন তিনি।

তবে শেষ রক্ষা হল না তার। অবশেষে ধরা খেয়েছেন ওই কথিত বিসিএস ক্যাডার। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের একটি বিশেষ দল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপসচিব পরিচয়দানকারী ওই প্রতারককে আটক করেছে।

তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত প্রতারক নিজেকে কখনও ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনও উপসচিব অথবা সচিবালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। তার মূল টার্গেট ছিল বিত্তবান পরিবারের অবিবাহিত ও চাকরিজীবী কন্যা।

ঢাকা নগরীর কয়েকজন অসাধু ঘটকের কাছ থেকে অবিবাহিত মেয়েদের বায়োডাটা টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্য বিশেষ করে পাত্রীর মায়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করার চেষ্টা করেন। এর পর বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাত যেমন-পিএইচডি করতে বিদেশ যাওয়া, দুদককে ঘুষ দেয়া, বদলি বাতিল করাসহ নানা অজুহাতে বিয়ের পাত্রীর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। পরে ধারকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে তার প্রতারণার শিকার হয়ে বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারক গোলাম মোস্তফার নামে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে সিআইডি। সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব ফরহানের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজার নেতৃত্বে একটি টিম রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে উত্তরা ১১নং সেক্টরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করে। 

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: