বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগ হচ্ছে সর্বাধুনিক হাইস্পিড কোচ। ঘণ্টায় এর গতি হবে ১৪০ কিলোমিটার। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে এ ট্রেন আড়াই কিলোমিটার (২.৩৩ কিলোমিটার) গতিতে চলতে সক্ষম।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামের বর্তমান রেলপথ ৩২১ কিলোমিটার। নতুন সংক্ষিপ্ত রেল রুট সর্বোচ্চ ২৩৩ কিলোমিটার হবে। এতে মাত্র ৫৪ মিনিটেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। আগামী বছর নির্মাণ শুরু করলে ২০২৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
ভূমির ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণে জমির বাড়তি ব্যবহার ও রেল চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে গতি সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের জন্য ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতির রেলপথটি উড়ালপথে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা) থেকে কোচগুলো জাহাজে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম শিপমেন্টে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছবে ১৫টি কোচ। এরপর আরও দুটি শিপমেন্টে মোট ৫০টি ব্রডগেজ কোচ আসবে। এরপরে আরও ৯টি শিপমেন্টে আসতে থাকবে ২০০ টি মিটারগেজ কোচ।
নতুন এই কোচগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে আধুনিক সুবিধাযুক্ত বলে রেলওয়ে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ জানান, এই প্রথমবারের মত প্রতিটি কোচে প্লেনের মত বায়োটয়লেট থাকছে। যাতে রেললাইনে পড়বে না ময়লা। পরে এগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে ডিসচার্জ করা হবে। এ ব্যবস্থায় ট্রেনে ব্যাকটেরিয়া ও দূষণ হবে না।
টাইমস/এসএ/এক্স