করোনায় তরুণরা স্বাস্থ্যবিধি কম মানছেন

বাংলাদেশে তরুণ ও যুবকদের করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছে। তবে মৃত্যুর হার ষাটোর্ধদের বেশি। নমুনা পরীক্ষা করা, ধূমপান, নিয়ম না মানার প্রবণতা, উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, লেখাপড়াসহ নানা কারণে তরুণদের বাইরে বের হচ্ছে বলে তারা আক্রান্তও বেশি হচ্ছে।

দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ ৩০শে জুন জানিয়েছে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৬৪ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃতদের মধ্যে ৪৮ জনেরই বয়স ৫১ থেকে ৮০ বছর। যাদের উপসর্গ গুরুতর হচ্ছে তাদের মধ্যেও বয়স্করাই বেশি রয়েছেন। বিশ্বব্যাপীই এই প্রবণতা রয়েছে।

আইইডিসিআরের ভাইরলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বিবিসিকে বলছেন, "তরুণরা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন না। কারণ তারা দেখছেন যে আক্রান্ত হলেও তাদের উপসর্গগুলো খুব গুরুতর নয়। অনেক সময় তাদের মধ্যে কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। তারা দেখছে যে মূলত বয়স্করাই বেশি মারা যাচ্ছেন। তাই করোনাভাইরাসকে তারা হালকাভাবে নিচ্ছেন।"

এর ফল হল তরুণরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কম। তারা যে অন্যদের জন্য ঝুঁকির কারণ সে বিষয়ে আলাদা করে কোন প্রচারণা না থাকায় সংক্রমণ রোধে নিজেদের দায়িত্বটুকু তারা বুঝতে পারছেন না।

অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলছেন, "রাস্তায় নামলে দেখা যায় অনেক তরুণ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আড্ডা দিচ্ছেন। কারো মুখে হয়ত মাস্ক আছে, কারো নেই, কেউ আবার মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। তারা বাইরে বের হন বেশি, তাদের মধ্যে রেকলেস হওয়ার প্রবণতাও বেশি।"

"এই তরুণরাই বাড়ি গিয়ে নিজের পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়দের সংক্রমিত করছেন। পরিবারে আগে থেকেই কারো হার্ট, কিডনির সমস্যা বা ডায়াবেটিস আছে তাদেরকেও বড় ঝুঁকিতে ফেলছেন।"

অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলছেন, তরুণরা নিজেরা আক্রান্ত হয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করছেন।

তাদের কারণেই হয়ত একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর পরিস্থিতিতে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এতে হাসপাতাল ব্যবস্থার উপরেও চাপ পড়ছে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: