খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, অসহায়, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষের ফি দিয়ে করোনা পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এতে তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে, তারা করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী হবে না। আর এতে করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে।
বুধবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় নিজ বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোরবানির পশুরহাটে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে সেখানে কোরবানির পশুরহাটের অনুমতি দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া মহাসড়কের ওপর কিংবা আশে পাশে হাট বসানো যাবে না। পশুরহাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের আগেই করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার আরও কিছু এলাকাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সেসব এলাকা লকডাউনের চিন্তা-ভাবনা করছে। কাজেই আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, ২৯ জুন এক পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, এখন থেকে বুথে গিয়ে নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য ২০০ টাকা ফি দিতে হবে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্যও লাগবে ২০০ টাকা ফি। আবার বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য দিতে হবে ৫০০ টাকা।
টাইমস/এসএন