করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মো. আনিচুর রহমান(৫০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে শৈলকুপা উপজেলার কাচেরকোল গ্রামে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। সে ওই গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে।
ঢাকার একটি টেইলার্সে দর্জির কাজ করতেন তিনি। গত ২৯ জুন ঢাকা থেকে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি নিয়ে সে বাড়িতে আসে। স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করেছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, বিকেলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের গঠিত শৈলকুপা উপজেলা দাফন কমিটির সদস্যরা তার লাশ দাফন করেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গে মৃত্যু হল ১৭ জনের।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসেন জিৎ পার্থ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ২৩৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল পাওয়া গেছে ২০৮৩টি। ২৮৭টির ফলাফল বিভিন্ন পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ২৭টি নমুনায় করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট ২৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৬৯, শৈলকুপায় ৪১, হরিণাকুন্ডুতে ১৪, কালীগঞ্জে ৭৬, কোটচাঁদপুরে ২০ এবং মহেশপুরে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনা হাসপাতালে (শিশু হাসপাতাল) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ১৪ জনকে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৪ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন এবং শৈলকুপায় ২ জন রয়েছেন।
টাইমস/ফাতেমা/এইচইউ