টাকার বিনিময়ে করোনা নেগেটিভের ভুয়া সনদ, প্রতারক গ্রেপ্তার

পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে চাকরি করতে আসা শ্রমিক-কর্মচারীদের করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগে শ্রমিক-কর্মচারীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পাকশীর ’মেডিকেয়ার’ নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

এঘটনার পর প্রতারণার অভিযোগে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন না থাকায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবদুল ওহাব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার রানা ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চর রূপপুর নলগাড়ী গ্রামের জামাত আলীর ছেলে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দীন জানান, রূপপুর প্রকল্পের ১৭০ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেয়ারের মালিক রানা। পরীক্ষা বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ফি নেন তিনি। নমুনা সংগ্রহ করেন প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নাটাবাড়িয়ার আরশেদ আলী সরকারের ছেলে সুজন আহমেদ।

ওসি আরো জানান, রানা ও সুজন রূপপুর মার্কেট এলাকায় ইটভাটার মাঠে তাঁবু টাঙ্গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে ভুক্তভোগীরা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে জানায়।

এ ব্যাপারে মেডিকেয়ারের পরিচালক আরিফুল বারী কিরণ বলেন, রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেস্ট রোশেম, নিকিমথ ও রুইনওয়ার্ল্ডের অনুরোধে আমরা নমুনা সংগ্রহ করে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাইদ বলেন, মেডিকেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য ৬ জুলাই আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই ক্লিনিকের (মেডিকেয়ার) করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন আছে কিনা আমাদের জানা নেই।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: