করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনায় এক পল্লী চিকিৎসক ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে খুলনা কোভিড হাসপাতালে (ডায়াবেটিস হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী (৬০) এবং বিকেলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ছেলে খান জাহান আলী (২৪) মারা যান। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায়।
এর আগে ৬ জুলাই করোনা উপসর্গ থাকায় ইয়াদ আলীর পুরো পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিভাগ। মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় ইয়াদ আলীসহ তার পরিবারের চার জন করোনা পজিটিভ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে ইয়াদ আলীকে খুলনা কোভিড হাসপাতালে এবং ও তার ছেলেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, খুলনা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াদ আলীর ছেলে খান জাহান আলীরও মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফকিরহাট উপজেলায় মোট চার জনের মৃত্যু হল।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ফকিরহাটে আজকে কোভিড পজিটিভ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাগেরহাটে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আজকে খুলনা ও যশোর থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৮ জনে। এর মধ্যে ১৯০ জন সুস্থ ও অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
টাইমস/এইচইউ