কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিফাত স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তিনি মেজর সিনহার টিমে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় সোমবার সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন টেকনাফ জুডিশ্যল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।
সিফাতের আইনজীবী মো. মোস্তফা বলেন, রোববার একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি শিপ্রা দেবনাথ জামিনে মুক্তি পান। একই প্রক্রিয়া মেনে সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদন করা হয়। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় মেজর সিনহা ও তার দুই সহযোগী শিপ্রা দেননাথ ও সিফাতের নামে অস্ত্র ও মাদকের মামলা করে পুলিশ।
পরে গত বুধবার মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ওসিকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
পাশাপাশি র্যাব-১৫ এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। পরে বৃহস্পতিবার মেজর সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপসহ সাতজন আদালতে আত্মসমর্পন করেন।
টাইমস/এসএন