স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হলেন সেব্রিনা ফ্লোরা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ২০ আগস্ট থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।

সূত্র জানায়, সেব্রিনা ফ্লোরা অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনার স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত সানিয়ার চাকরির মেয়াদ আছে। এরপরেই তিনি অবসরে যাবেন।

রোগ তত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সেব্রিনা ফ্লোরা ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করার পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) থেকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়ে সেখানে তিন বছর গবেষণা করেন। তিনি নিপসমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণার ওপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

ফ্লোরা ২০১৬ সালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও রোগ বিস্তার প্রতিরোধে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করেন। শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম সম্পর্কিত করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সফলতা দেখিয়েছেন তিনি।

সেব্রিনা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ন্যাশনাল পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ফাউন্ডেশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের একজন সম্মানিত ফেলো তিনি।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা যখন বাংলাদেশে হানা দেয় তখন মানুষকে সচেতন করা এবং এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের কথা প্রতিনিয়ত দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি নিরলসভাবে কাজ করে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামাল দেন। এর আগে জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়াসহ বেশ কিছু দুর্যোগে দেশবাসীর কাছে রাষ্ট্রের বার্তা তুলে ধরে পরিচিত পান ফ্লোরা।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: