কক্সবাজারের মহেশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে লবণচাষি আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগমের করা মামলাটি শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত লবণচাষি আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ছাড়াও মহেশখালী থানার সাবেক এসআই হারুনুর রশীদ ও ইমাম হোসেন, সহকারী এএসআই মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীসহ তার বাহিনীর ২৩ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়। প্রদীপ কুমার দাশ ২৪ নম্বর আসামি।
আদালতে করা মামলায় হামিদা বেগম দাবি করেন, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে পুলিশসহ অন্য আসামিরা মারধর করে কালারমার ছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। তাকে হত্যার পরে পুলিশ কথিত বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজায়। তিনি এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ থানায় মামলা নেননি। তখন তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, হামিদার মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আর পুলিশের করা মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন আদালত।
আবদুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন দাবি করেন ওসি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্রসহ তিনটি মামলা ছিল। পরে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা করে। অস্ত্র ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন আছে। মামলাটি এখন তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হবে।
টাইমস/এইচইউ