সিলেটের মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজের হলে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় শনিবার ওই ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শাহপরান থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানান, ওই ছাত্রীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রনি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন- সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা পলাতক
এদিকে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান নামে একজনের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে বলে ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানিয়েছেন।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্র
উল্লেখ্য, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে প্রাইভেটকারে করে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই ছাত্রী। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার কলেজটির ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় ৬/৭ জন যুবক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
টাইমস/জেকে/এসএন