ডাকসু ইস্যুতে কোটা আন্দোলনের নেতাকে ছাত্রলীগের মারধর

ডাকসু নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন কোটা আন্দোলনের এক নেতা।

হামলায় আহত হাসান আল মামুন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাইসুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অংশ নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাইব্রেরির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামুন। এসময় ২০ থেকে ২৫ জন তার ওপর হামলা করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার পাঁচ-দশ মিনিট পরে লাইব্রেরির সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্লোগান ধরতে দেখা গেছে।

হামলায় আহত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে করার দাবিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ছিল আমাদের। সবাই মিলে একসঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। আমি আগে চলে আসায় গ্রন্থাগারের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাইসুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা করে।

তিনি বলেন, কী উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আমরা যখনই ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি, তখন থেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা শুরু হয়।

আমরা যেন ডাকসু নির্বাচনে অংশ না নেই সেজন্য ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতেই এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মামুন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসুল ইসলাম বলেন, আমি এ হামলার সঙ্গে জড়িত নই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমার নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে আছে। তারা হামলা করেনি। তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হতে পারে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সেখানে গেছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

 

টাইমস/এক্স

Share this news on: