নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার এক কিশোরীকে নিখোঁজের প্রায় চার মাস পর ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার এক ব্যক্তির ফোন থেকে সংবাদ পেয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে মেয়েটিকে (১৪) উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। তারা হলেন সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান সুমন, তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, হাকিমপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৮) ও হাতিয়ার জামাল উদ্দিনের মেয়ে রিনা আক্তার (২৫)।
নির্যাতনের শিকার চানন্দী ইউনিয়নের চর নঙ্গোলিয়া গ্রামের রাহেলা বেগমের অভিযোগ, অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় এসিড দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলা হয়েছে।
প্রায় ৮-১০ দিন আগে রাতের বেলায় তার শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেয়া হয়। যার কারণে তার বুক, পেট, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এই আক্রান্ত স্থানে পচন ধরলে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে কালুরঘাট এলাকার একটি ব্রিজের নিচে ফেলে আসা হয়।
মেয়েটির মা অভিযোগ করেন, চার মাস আগে প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের মেয়ে রিনা আক্তার তাদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রোববার গভীর রাতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের নিচ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে খবর দেন। এরপর তারা মেয়েটিকে নোয়াখালী নিয়ে আসেন বলে জানান।
কিশোরীর মা আরও বলেন, রিনা আক্তার তার মেয়েকে বাড়ি থেকে মাইজদীতে আলেয়ার বাসায় রেখে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় এসিড মেরে তার শরীর ঝলসে দেয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, মেয়েটির শরীরে এসিড বা কেমিকেল জাতীয় দ্রব্য নিক্ষেপ করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যপারে ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
টাইমস/এসআর/জিএস