ফেনীর ফুলগাজীতে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে ভিকটিম স্কুলছাত্রী সন্তান প্রসব করেছেন। এঘটনায় ভিকটিম ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শাওন রাঙ্গামাটির শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
ফুলগাজী থানার ওসি মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তৌহিদুলের মামার বাড়ি ও ভিকটিম কিশোরীর বাবার বাড়ি একই এলাকায়। এরই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তৌহিদুল। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে কনস্টেবল তৌহিদুল।
পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার কিশোরীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনার পরই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন।
টাইমস/এসএন