রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দুদেশের সীমান্ত বন্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

মিয়ানমারের ভেতরে চলমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যথেষ্ট মানুষের জন্য আমাদের সীমান্ত খোলা রেখেছিলাম। আমরা আর গ্রহণ করতে পারছি না। আমরা সীমান্ত সিলগালা করে দিয়েছি।

এখন প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোকে সীমান্ত খোলা রাখার কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা শুনেছেন যে মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় বৌদ্ধ ও হিন্দুসহ বিভিন্ন জাতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

ড.মোমেন বলেন, তিনি অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশ চায়, সব রোহিঙ্গা যাতে নিরাপদে তাদের নিজের জায়গা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যায়।

‘যত দ্রুত সম্ভব তাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের উচিত হবে রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে আসিয়ানের তত্ত্বাবধানে একটি সেফ জোন করার বিষয়ে রাজি হওয়া।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোলির বৈঠক করার কথা রয়েছে।

তিন দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন জোলি। ওই দিনই তিনি কক্সবাজার যান। সেখান থেকে বুধবার সকালে তিনি ফের ঢাকায় আসেন।

দুদিন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকালে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি বিবৃতি দেন।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ ও তাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থার জন্য তিনি মিয়ানমারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

 

টাইমস/এক্স

 

Share this news on: