চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেখানকার স্থানীয় মানুষরা এখন দু’টি ভাগে বিভক্ত। একদল, যারা কোনোভাবেই রাসায়নিক কারখানাকে এরজন্য দায়ী করতে চাননা। তাদের দাবি, এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আর অন্য দল বলছে রাসায়নিক কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তারা চায় দ্রুত এসবের অপসারণ। খবর বিবিসি।
কেমিক্যাল না সিলিন্ডার?
পায়ের নিচে শর্ষেদানার মতো প্লাস্টিকের কাঁচামাল। ধবধবে সাদা প্লাস্টিকের গুড়ো, পানি, রং বেরংয়ের বিভিন্ন প্রসাধনী প্যাকেট ও পারফিউমের কৌটা সব পুড়ে কালো হয়ে গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। কোনো পরিচিত স্বজনদের পাওয়ার আশা যখন শেষ, তখন তর্ক শুরু হয় আগুনের সূত্রপাত নিয়ে।
কারো দাবী ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে আগুনের শুরু, কেউবা বলতে থাকেন গাড়ির সিলিন্ডার যত নষ্টের গোড়া। পুরান ঢাকার এই স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে তখন স্পষ্টত দুটি দল। একদল রাসায়নিক কারখানাকে কোনভাবেই দায়ী করতে রাজি নন।
"কেমিক্যাল কি? এখানে তো বছরের পর বছর কেমিক্যাল কারখানা আছে, আপনারা গাড়ির সিলিন্ডারগুলো ঠিক করেন। এই যে নষ্ট সিলিন্ডার দিয়ে গাড়িগুলো চলতাছে কেউ খবর রাখে?"-তেড়ে আসেন ত্রিশোর্ধ্ব একজন।
আরেকদল আবার যেকোনো মূল্যে চান এই এলাকাগুলো থেকে রাসায়নিক কারখানা ও গুদামের অপসারণ।
"আমাদের একটাই আর্জি এই রাসায়নিক কারখানাগুলো সরকার সব সরায়া নিক। আমাদের বাঁচান"-আর্তি জানাচ্ছিলেন এলাকার স্থায়ী পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বাসিন্দা।
টাইমস/জিএস