চকবাজার ট্র্যাজেডি: এখনো থামছে না কান্না

রাজধানীর পুরান ঢাকার চাকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের কান্না এখনো থামছে না। স্বজনরা ছবি, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

শুধু তাই নয়, ভয়াবহ আগুনে পুড়ে নিহতদের অনেক স্বজন শোকে পাথর হয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

শনিবার এমন দৃশ্য দেখা গেল ঢামেক মর্গের আশপাশ এলাকায়।

রোজিনা নামের এক নারী জানান, এনামুল নামে তার ভাই নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার রাতে চকবাজারের সাকুরা মার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে রিকশায় কেরানীগঞ্জের বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন।

রোজিনার বাবা জানান, চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিদিনই তিনি ঘটনাস্থলে আসছেন, তবে এখনো ছেলের সন্ধান পান নাই। তবে ছেলের সন্ধানে তিনি ঢামেক মর্গেও এসেছেন। সেখানে ডিএনএ টেস্টের জন্য রক্তও দিয়েছেন।

জানা গেছে, চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭ জন নিহত হন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৪৬ জনের লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার আরো দুইজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

তিনি জানান, শনিবার আরো দুই লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এখন তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, যেসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১৯ লাশের দাবিদার ৩২ জন স্বজনের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবরেটরির পরীক্ষক এসআই মাসুদ রাব্বি সবুজ।

ঢাকা জেলা ডিসি অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৪৬ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়। শনিবার সকালে আরো একটি লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আরেকটি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

টাইমস/ কেআরএস/জেডটি

Share this news on: