সাড়ে চার বছর পিছিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা : বিশ্ব ব্যাংক

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সাড়ে চার বছর পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ব্যাংকের প্রাথমিকের ‘লার্নিং টু রিয়ালাইজ এডুকেশনস প্রমিজ-২০১৮’শীর্ষক প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান এডো জানান, বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের যা শেখানো হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। ১১ বছর পর্যন্ত ৫ম শ্রেণিতে যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তা মূলত সাড়ে ছয় বছরে পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে সাড়ে চার বছর পিছিয়ে থাকছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই পাঠ্যবইয়ের অংক বোঝে না জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ৫ম শ্রেণির ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নিজ পাঠ্যপুস্তকের অংশ দেয়া হলেও তাদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন অংক করতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অপরদিকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলা পড়তে পারে। বাকি ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই বাংলা বই পড়তে পারে না।

এদিকে, এসব সমস্যা সমাধানে বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিনটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সুপারিশের মধ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শিক্ষার মান মূল্যায়ন করতে হবে, প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষকদের মান বাড়াতে হবে, এবং প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- লিগো ফাউন্ডেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মিস সারা বুচি, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি হেলসি রোগাস্টাস, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

টাইমস/ কেআরএস

Share this news on: