বৃষ্টিভেজা সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে এবং দুই সিটির ৪৯টি কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
একদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি, অন্যদিকে বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বয়কটে ‘জৌলুস হারানো’ এই নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিলো। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতির সংখ্যা বাড়বে বলে জানা যায়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাসুদুল হক এবং দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল আশা করছেন, বৃষ্টি কমলে ভোটাররাও কেন্দ্রে আসবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন, উত্তর ও দক্ষিণের ১৮টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর এবং ১২টি নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা উত্তরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। দুই সিটি মিলিয়ে ১ হাজার ৭০০ এর বেশি কেন্দ্রে হচ্ছে এই ভোট; সব মিলিয়ে ভোটার রয়েছেন ৪০ লাখের মত।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৯ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন করে ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে মোট ২৭টি মোবাইল টিম নিয়োজিত আছে। এ ছাড়া এদের ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। র্যাবের নিয়োজিত রয়েছে ২৭টিম, মোতায়েন করা হয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি।
নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন ও অনিয়মের শাস্তি প্রদানে ৫৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন ২৪ জন।
ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো অনিয়ম হলে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেয়া হবে। অনিয়মে জড়িত লোকজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবেন।
ডিএনসিসির মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. শাফিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির শাহীন খান ও স্বতন্ত্র মো. আবদুর রহিম।
টাইমস/জিএস