কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদে আবার অভিযান

রাজধানীর বকশীবাজারের জয়নাগ রোডে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ অভিযান শনিবার সকালে শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) গঠিত টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় গুদাম ও বাড়ির মালিকদের বাধার মুখে পড়েন তারা।

এরপর শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান আবার শুরু হয়।

বাধা দেওয়ার খবর শুনে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি যাব, কে বাধা দেবে আমি দেখব।’

জয়নাগ রোডের কয়েকটি কেমিক্যাল গুদামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর বিকাল ৩টার দিকে প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র।

বৈঠকে বসার আগে মেয়র সাইদ খোকন বলেন,  ‘আমরা কোনো গুদামের মালামাল জব্দ করছি না। কাউকে সাজাও দিচ্ছি না। আমরা কেবল হাজার হাজার মানুষের জীবন সেভ করছি। এসব গুদামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।’

এর আগে চকবাজার থানা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের একটি দল জয়নাগ রোডের একটি আবাসিক ভবনে কেমিক্যালের গুদাম খুঁজে পায়। এরপর ভবনটির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় এলাকার ব্যবসায়ীরা স্লোগান দিতে থাকে এবং তাদের তোপের মুখে অভিযান স্থগিত করতে বাধ্য হয় টাস্কফোর্স।

বিষয়টি জানার পর মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘একদল অসাধু ব্যবসায়ী অভিযানে বাধা দিয়েছে। আমি দুপুরে ঘটনাস্থলে যাব। আমার সামনে অভিযান চলবে। দেখি কে অভিযানে বাধা দেয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযানে সিটি কর্পোরেশনের গঠিত টাস্কফোর্সের টিম-৩ অংশগ্রহণ করেন। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। অভিযানে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাসহ তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা ও ডিপিডিসি, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও চকবাজার থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৭১ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে কেমিক্যালকেই দায়ী করা হচ্ছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: