যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শামীম (৩০) নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান।
নিহত শামীম শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি গুলি ও ৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি অপূর্ব হাসান জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশ জানতে পারে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামীম তার খোলাডাঙ্গা এলাকার বাড়িতে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে তাকে ধরতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শামীম পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে শামীম গুলিবিদ্ধ হন। আহত শামীমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তৃষা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি ছিলেন শামীম। তার বিরুদ্ধে ধষর্ণসহ একাধিক মামলা ছিল।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মরদেহের মাথার বাঁ পাশে গুলি লেগেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে।
রোববার যশোরের কারাবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তৃষা বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ধর্মতলায় বাড়ির পাশের গর্ত থেকে তৃষার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার শিশুটির বাবা তরিকুল ইসলাম অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন বন্দুকযুদ্ধে নিহত শামীম।
টাইমস/এসআর/এইচইউ