রাজধানীর নর্দ্দায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেওয়া সুপ্রভাত বাসের চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্সই ছিল না। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল ১০টা থেকে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নেন বিইউপিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সকাল ১১টার দিকে আসেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। এ সময় তারা দুর্ঘটনাস্থলে আবরার আহমেদের নামে একটি ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
মেয়র বলেন, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। যে চালক সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তার হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স ছিল। এটি নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব! তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তার দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুপ্রভাত পরিবহনের সব বাসের সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে মেয়র জানান, তাদের দাবি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রদের ফিরে যেতে বলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্দ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। ঘটনার পর সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়।
টাইমস/এসআই