কক্সবাজারের বিরাট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অঞ্চলকে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেখানে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেন চালু হবে। বিমানবন্দরের উন্নয়নও করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম প্রকল্পের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠক শেষে বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর ‘স্পিচ রাইটার’ মো. নজরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম হলে কেবল ওই অঞ্চলেই নয় পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময়ে কক্সবাজারে কিছুই ছিল না। পুরো কক্সবাজারে লবণ চাষ হত ও পান চাষ করত। কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নটা যেন মানুষের জন্য হয়, মানুষের ক্ষতি করে যেন উন্নয়ন না হয়। অনেক সময় দেখা যায়, প্রকল্প করতে গিয়ে মানুষের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়। তারা যেন সময়মতো জমির যথাযথ মূল্য পায়, তাতে দৃষ্টি দিতে হবে।
কক্সবাজারে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনাও হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এতে সফল হতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, প্রকল্পের জাপানি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী নিয়ে বড় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। জাপানের সহায়তায় মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এই পরিকল্পনার অংশ।
টাইমস/এইচইউ